Sharing is caring!
ডেস্ক রিপোর্ট : মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বরাজনীতির উত্তাল প্রেক্ষাপটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা আবারও নতুন গতি পাচ্ছে। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে নিশ্চিত হয়েছে, দ্বিতীয় দফার এই আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউরোপের কোনো শহরে নয়, বরং ওমানের রাজধানী মাসকাটে। আন্তর্জাতিকভাবে সংবেদনশীল এই সংলাপকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মধ্যেও কূটনৈতিকভাবে একটি সমঝোতার আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি নিশ্চিত করেছেন, আগামী ১৯ এপ্রিল মাসকাটেই দ্বিতীয় দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, গত ১২ এপ্রিল একই শহরে প্রথম দফায় পরোক্ষ বৈঠক হয়েছিল দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে। সেখানে মধ্যস্থতা করেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি। দুই পক্ষই বৈঠক শেষে এই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করে এবং এক সপ্তাহ পর পুনরায় আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রেক্ষিতেই মাসকাটকেই চূড়ান্ত ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
তবে এই ভেন্যু নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-ই-রাভাঞ্চির একটি সংসদীয় ব্রিফিংয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয় যে, আলোচনা ইউরোপে—বিশেষ করে ইতালির রোমে—হতে পারে। এমনকি ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সও এমন খবর প্রকাশ করে। কিন্তু ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ স্পষ্ট ঘোষণায় জানা যায়, দ্বিতীয় দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে রোমে নয়, মাসকাটেই।
বিশ্লেষকদের মতে, ওমান দীর্ঘদিন ধরেই নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য কূটনৈতিক ভেন্যু হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দুই বৈরী দেশের মধ্যে আলোচনার ক্ষেত্রে মাসকাটের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই আলোচনা কেবল দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নেই নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনার পথে একটি সম্ভাবনাময় পদক্ষেপ। এখন আন্তর্জাতিক মহলের চোখ মাসকাটের দিকে—এই আলোচনা কি পারমাণবিক ইস্যুতে কোনো বাস্তব সমঝোতা এনে দিতে পারবে?
Sharing is caring!