আজ বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে গুড়িয়ে সমতায় অস্ট্রেলিয়া

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ণ
ভারতকে গুড়িয়ে সমতায় অস্ট্রেলিয়া

Sharing is caring!

ডেস্ক রিপোর্ট : অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ভারত। স্রেফ দুই দিন আর এক সেশনেই সফরকারীদের উড়িয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল স্বাগতিকরা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অ্যাডিলেইডে তৃতীয় দিন রোববার ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।হাতের ৫ উইকেটে এদিন স্রেফ ৪৭ রান করতে পারে রোহিত শর্মার দল। তাতে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্যাট কামিন্স বাহিনী। সিরিজের একমাত্র দিবা-রাত্রির টেস্টের এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ১-১ সমতা টানল অস্ট্রেলিয়া।

আগের দিনের দুটির সঙ্গে এ দিন আরও তিন উইকেট যোগ করে শেষ দিনের নায়ক কামিন্স। জশ হেইজেলউড চোটের কারণে না থাকায় নতুন বল পেয়ে জ্বলে উঠলেন অধিনায়ক। তার প্রাপ্তি ৫৭ রানে ৫ উইকেট। ১১৯ ইনিংসে এটি তার ১৩তম ৫ উইকেট শিকার।

ম্যাচে কামিন্সের উইকেট ৭টি, মিচেল স্টার্কের ৮টি, স্কট বোল্যান্ডের ৫টি। তিন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিলেই শিকার করেছেন ভারতের ২০ উইকেট। তবে বোলারদের ম্যাচে ১৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক ট্রাভিস হেড।

দুই দিনেই জয়ের পথ রচনা করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৫ উইকেটে ১২৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা ভারত প্রথম ওভারেই হারায় রিশাভ পান্তকে। মিচেল স্টার্ক বিদায় করে দেন বিপজ্জনক এই ব্যাটসম্যানকে। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান নিতিশ কুমার রেড্ডি দুই দফায় জীবন পেয়েও টিকতে পারেননি। প্রথমে স্টার্কের বলে ক্যাচ নিতে পারেননি স্মিথ, খানিক পর কামিন্সের বলে ব্যর্থ হেড। এর ফাঁকে দারুণ দুটি শর্ট বলে রাভিচান্দ্রান অশ্বিন ও হার্শিত রানাকে ফেরান কামিন্স। খানিক পর অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের শর্ট বলে আউট হন রেড্ডি।

৪২ রান করা রেড্ডিকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূরণ করেন কামিন্সের। পরের বলেই আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স কেয়ারি পারেননি সিরাজের ক্যাচ নিতে। পরের ওভারে সিরাজকে ফিরিয়েই ভারতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেন বোল্যান্ড।

প্রথম ইনিংসে এক ওভার বল করা ন্যাথান লায়নকে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নিতে হয়নি। ১৩১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এত কম বোলিং আগে কখনোই করেননি এই অফ স্পিনার। ২০১১ সালে ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্টে করেছিলেন তিন ওভার বোলিং। রান তাড়ায় ১৯ রানের ছোট্ট লক্ষ্যে দ্রুতই পৌঁছে যান উসমান খাওয়াজা ও ন্যাথান ম্যাকসুয়েনি।ব্রিজবেনে আগমী শনিবার শুরু সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।

Sharing is caring!