আজ শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার বিজয় দিবসে মোদিকে আমন্ত্রণ

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ণ
রাশিয়ার বিজয় দিবসে মোদিকে আমন্ত্রণ

Sharing is caring!

ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে জয়লাভের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৯ মে মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতির প্রত্যাশা করছে মস্কো। রুশ বার্তাসংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুদেনকো জানান, আমন্ত্রণপত্র ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে এবং মোদির সফর এখন আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির জটিল প্রেক্ষাপটে এই আমন্ত্রণ দুই দেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ৯ মে নাৎসি জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। সেই স্মৃতিতেই প্রতি বছর রাশিয়া দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে, যা তাদের ইতিহাসে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। এবারের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। শুধুমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নয়, অন্যান্য ‘বন্ধু’ দেশের রাষ্ট্রনেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই ঘনিষ্ঠ। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক সেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। দুজনই নিয়মিত টেলিফোনে কথা বলেন এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও একাধিকবার ব্যক্তিগতভাবে মিলিত হয়েছেন। পুতিন একবার মন্তব্য করেছিলেন, “আমাদের সম্পর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আমাদের মধ্যে অনুবাদকের প্রয়োজন পড়ে না।” সেই মন্তব্যে মোদির হাস্যোজ্জ্বল প্রতিক্রিয়া সেই আন্তরিকতা প্রতিফলিত করেছিল।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে মোদি রাশিয়া সফরে যান, যা ছিল তার গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম মস্কো যাত্রা। সেই সফরে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। যদিও পুতিন সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। এই আমন্ত্রণ শুধু একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের বিষয় নয়, বরং এটি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান, বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ ও পশ্চিমা দেশের চাপের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখা মোদির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া আলোচনা চলছে যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল রেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে পারে। যদি তা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে তা দুই দেশের সামরিক সহযোগিতার প্রতীক হিসেবেও গুরুত্ব পাবে।

Sharing is caring!