Sharing is caring!
ডেস্ক রিপোর্ট : রোজা না রেখে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার কারণে তোপের মুখে পড়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামি। ভারতের আলেম সমাজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে শামির রোজা রাখার ইস্যুেত। কেউ বলছেন রোজা না রেখে পাপ করেছেন শামি, আবার কারও দাবি মুসাফির হিসেবে রোজা কাজা করার সুযোগ আছে তার। শামি রোজা না রাখায় প্রথম তার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের সভাপতি মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভী বেরেলভী।
তিনি বলেন, ‘রোজা না রেখে শামি পাপ করেছেন। শরিয়তে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি সুস্থ থাকাকালীনও রোজা রাখেননি এবং প্রকাশ্যে পানি পান করেছেন, যাতে সমাজের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছেছে।’ সে সময় শামির চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মুমতাজ পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যে জানান, ‘শামি দেশের জন্য খেলছে। পাকিস্তানের অনেক খেলোয়াড়ও রোজা না রেখে ম্যাচ খেলছেন। এটা নতুন কিছু নয়।
মোহাম্মদ শামিকে বলব, এসব কথায় কান না দিয়ে আগামী ৯ মার্চের ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে।’ অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মওলানা খালিদ রশিদ ফারাঙ্গি মাহলি অবশ্য শামির পক্ষে ফতোয়া দিয়েছেন। তার যুক্তি, ‘রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলিমের কাছেই বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে রমজান মাসে। যদিও আল্লাহ কোরআনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন যে, যদি কোনো ব্যক্তি কোথাও যান বা অসুস্থ হন, তাহলে তিনি রোজা পালন না-ও করতে পারেন। শামি সফরে গিয়েছেন।
তাই তিনি রোজা পালনে ছাড় পেয়েছেন। এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়।’ শামির ভাই মোহাম্মদ হাসিব জানিয়েছেন, তার ভাই নিয়মিত রোজা রাখেন। খেলার জন্যই তিনি রোজা কাজা করেছেন, যা তিনি পরে রাখবেন, ‘শামি নিয়মিত রমজান পালন করেন। আর ম্যাচের জন্য যে রোজা তিনি রাখতে পারেননি, পরে সেটা তিনি পালন করে নেবেন।’ শামির ছেলেবেলার কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকিও এ ইস্যুেত কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, শামি ভুল কিছু করেননি। যদিও মাওলানা শাহাবুদ্দিনের বিবৃতির পর অনেকেই শামির রোজা না রাখার সমালোচনা করেছেন। তারকা এই পেসার অবশ্য এ নিয়ে এখনও মুখ খুলেননি।
Sharing is caring!