আজ শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ট্রাম্পের মতো আর কোনো প্রেসিডেন্ট শুল্কারোপের মতো পদক্ষেপ নেননি’

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ণ
‘ট্রাম্পের মতো আর কোনো প্রেসিডেন্ট শুল্কারোপের মতো পদক্ষেপ নেননি’

Sharing is caring!

ডেস্ক রিপোর্ট : বিভিন্ন দেশের সাথে অ্যামেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে আর কোনো প্রেসিডেন্ট, ডনাল্ড ট্রাম্পের মতো শুল্ক আরোপের এমন সাহসি পদক্ষেপ নেননি। বুধবার ফক্স নিউযের এক অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেছেন, সেনেটর মার্কওয়েন মালিন। সেনেটর জন কেনেডি দাবি করেন, পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনেটর টেড ক্রুযের দাবি, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও ইউরোপের প্রতি শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছিলো, তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি।

বুধবার ক্যাপিটল হিলে, রিপাবলিকান সেনেটরদের নিয়ে ‘টাউনহল ইভেন্টের’ আয়োজন করে, ফক্স নিউয। পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শন হ্যানিটি । অনুষ্ঠানে, সেনেটর জন কেনেডি বলেন, পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যয় কমানোর পাশাপাশি, দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপ করা পাল্টা শুল্ক, অ্যামেরিকার অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সেনেটর কেনেডি আশা করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ট্রেযারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, শুল্কের বিষয়ে আলোচনার অনুরোধকারী দেশগুলোতে সফরে গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ও বাণিজ্য ঘাটিত শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনবেন। সেনেটর মার্কওয়েন মালিন বলেন, বিভিন্ন দেশের সাথে অ্যামেরিকার বাণিজ্য বৈষম্য নিরসনে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো সাহস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রয়েছে।

তিনি দাবি করেন, দশকের পর দশক ধরে এই সমস্যা অব্যাহত থাকলেও, কোনো প্রেসিডেন্ট তা সমাধানে এমন সাহসি পদক্ষেপ নেননি। মালিন অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাটরা, নীতিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে টিকতে না পেরে, নানা বিষয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে, সেনেটর টিম স্কট দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্ব অর্থনীতিকে পাল্টে দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন যা কেউ কখনও পায়নি। সেনেটর টেড ক্রুয দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও ইউরোপের কাছে শুল্ক তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক প্রেসিডন্ট জো বাইডেন, ইরানকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দিয়ে, দেশটিকে দ্রুততর সময়ের মধ্যে পরমাণু কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন। সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম দাবি করেন, ইরান ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। একবার এগুলো তৈরি করে ফেলতে পারলে প্রথমে ইযরায়েল এবং এরপরেই অ্যামেরিকার ওপর তেহরান হামলা চালাবে বলে শঙ্কা জানান সেনেটর গ্রাহাম।

Sharing is caring!