Sharing is caring!
ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশিদের জন্য নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে, যা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় অবস্থান করা বিদেশিদের বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড সহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি পোস্টে এই নির্দেশনার বিষয়টি জানায়। পোস্টে বলা হয়, যেসব বিদেশি ৩০ দিনের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের অবশ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া একেবারে বাধ্যতামূলক, এবং এর ব্যত্যয়ে গুরুতর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দেশনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কেউ এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ৯৯৮ ডলার দৈনিক জরিমানা ধার্য করা হবে, যা এক পর্যায়ে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, অভিযুক্তদের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং তাদের আর কখনও বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ওই পোস্টে বলা হয়, “অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যান।” এছাড়া, যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে, এমনকি আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। পোস্টে বলা হয়, যারা নিজের উদ্যোগে দেশে ফিরতে চান, তারা যুক্তরাষ্ট্রে উপার্জিত অর্থও নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন।
তবে, যদি কেউ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান অব্যাহত রাখেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, এবং সেই সঙ্গে প্রয়োজনে জরিমানা এবং কারাদণ্ডের শিকার হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফেরত যেতে চাইছেন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম নয়, তাদের জন্য সরকার সহায়তার ব্যবস্থা করবে এবং বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে, যেসব বিদেশি এই নিয়ম অমান্য করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে যাবেন, তাদের জন্য শাস্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।
এই নতুন নিয়মটি সরাসরি বিভিন্ন ভিসার প্রক্রিয়া যেমন H-1B বা স্টুডেন্ট ভিসার ওপর প্রভাব ফেলবে না, তবে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করবেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় হুঁশিয়ারি হতে পারে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এই নতুন নিয়ম দেশটির অভিবাসন নীতির কঠোরতর দিকটি প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপের ফলে, যেসব বিদেশি দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে, এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠোর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Sharing is caring!