আজ বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যারিবিয়ায় ‘প্রথম’ সিরিজ জয়ের হাসি

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ণ
ক্যারিবিয়ায় ‘প্রথম’ সিরিজ জয়ের হাসি

Sharing is caring!

ডেস্ক রিপোর্ট : সেই একই মাঠ, একই উইকেটে ম্যাচ। বাংলাদেশ পুঁজি জমাতে পারল আগের ম্যাচের চেয়ে কম। কিন্তু বোলিং পারফরম্যান্স হলো আরও ধারালো। তাসকিন আহমেদ কিংবা তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন বা শেখ মেহেদি হাসান, কাকে রেখে কার কথা বলা যায়! স্কিল, শৃঙ্খলা আর আগ্রাসন দিয়ে বিপজ্জনক ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইন আপকে ¯্রফে গুঁড়িয়ে দিলেন তারা। ব্যাট হাতে এদিনও নিজের কাজটি করেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজের ফয়সালা করে দিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালেও দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেবার শেষ দুটি ম্যাচ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। ক্যারিবিয়ানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় তাই এটিই প্রথম। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করার অভিযানে নামবেন লিটন দাসরা।

নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ব্যাটিং ও বোলিংয়ের বড় দুই ভরসা তাওহীদ হৃদয় ও মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া সিরিজটি খেলছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর দল ছিল কোণঠাসা। সেখান থেকে এই সিরিজ জয়, বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানে ঠাসা দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই সিরিজ জয় সত্যিকার অর্থেই দারুণ কিছু। প্রথম ম্যাচে ১৪৭ রান নিয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৭ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে এদিন বাংলাদেশ করতে পারে ২০ ওভারে ১২৯ রান। এবার আর আগের দিনের মতো ম্যাচ জমে উঠতে দেয়নি বোলাররা। ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস শেষ হয় ১০২ রানেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটিই।

আগের ম্যাচে শেষ সময়ে দারুণ এক ক্যামিও খেলা শামীম পাটোয়ারী ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন এই ম্যাচেও। একশর নিচে আটকে পড়ার শঙ্কায় থাকা দলকে এগিয়ে নেয় দুটি করে চার ও ছক্কায় তার ১৭ বলে ৩৫ রানের মহামূল্য ইনিংস। বোলিংয়ে বাংলাদেশের দাপটের শুরু ও শেষটা করেন অভিজ্ঞ তাসকিন। দারুণ বোলিংয়ে সঙ্গ দেন অন্যরাও। তবে বোলারদের ম্যাচেও গুরুত্বপ‚র্ণ ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা শামীম। আলাদা করে বলতে হবে লিটনের কথাও। ব্যাট হাতে তিনি ব্যর্থ এ দিনও। কিন্তু নেতৃত্বে ছিলেন নিখুঁত। বোলিং পরিবর্তন, মাঠ সাজানো, প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা ও চাপের রাখা, পরিস্থিদির দাবি মেটানো, সবকিছুই ছিল নজরকাড়া।
তবে এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিলো না। ছন্দ পেতে এদিন নিজেকে ওপেনিংয়ে আনেন লিটন। তাও লাভ হয়নি, আকিল হোসেনের টার্ন করা বলে ফ্লাইট মিস করে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন ২ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমবার তিনে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ তানজিদ হাসান। ৪ বলে ২ রান করে তিনি বোল্ড রোস্টন চেজের। সৌম্য সরকার উইকেটের আচরণ বুঝে টিকে থেকে রান আনার চিন্তায় ছিলেন। আফিফ হোসেনের বদলে আরেক পাশে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ দুবার জীবন পেলেও রান বাড়াতে পারছিলেন বাকিদের থেকে বেশি। এই দুজনের জুটিতে ৩১ আসার পর রান আউটে বিদায় নেন ১৮ বলে ১১ করা সৌম্য । আলজারি জোসেফের বলে পুল করে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ২৬ করা মিরাজ।

রিশাদ হোসেনকে আগে নামিয়ে লাভ হয়নি, রান পাননি শেখ মেহেদী হাসানও। তবে গোটা সিরিজে ঝলক দেখানো জাকের আলি অনিক এদিনও থিতু হয়েছিলেন। যদিও সøগ ওভারে দ্রæত রান আনার তাড়া মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২০ বলে ২১ করা ব্যাটার। এরপর শেষ দিকে দলের রান বাড়ানোর কারিগর শামীম। বাঁহাতি এই ব্যাটার আগের দিনের মতন এদিনও খুব বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি, তবে মিটিয়েছেন দলের চাহিদা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১২৯/৭ (লিটন ৩, সৌম্য ১১, তানজিদ ২, মিরাজ ২৬, জাকের ২১, রিশাদ ৫, মেহেদি ১১, শামীম ৩৫*, তানজিম ৯*; আকিল ১/১৬, শেফার্ড ০/২৬, চেইস ১/৮, জোসেফ ১/২১, মোটি ২/২৫, ম্যাককয় ১/৩২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৮.৩ ওভারে ১০২ (কিং ৮, চার্লস ১৪, ফ্লেচার ০, পুরান ৫, চেইস ৩২, পাওয়েল ৬, শেফার্ড ০, আকিল ৩১, মোটি ০, জোসেফ ০, ম্যাককয় ১*; হাসান ১/২৩, শেখ মেহেদি ২/২০, তাসকিন ৩/১৬, তানজিম ২/২২, রিশাদ ২/১২, মিরাজ ০/৮)।
ফল : বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
সিরিজ : ৩ ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ তে এগিয়ে

Sharing is caring!