Sharing is caring!
ডেস্ক রিপোর্ট : স্প্যানিশ সুপার কাপে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা। বুধবার রাতে সউদি আরবের জেদ্দায় প্রথম সেমি-ফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। দুই অর্ধে দুই গোল করে ফাইনাল নিশ্চিত করলো কাতালনরা। খেলার প্রথমার্ধে গাভি ও দ্বিতীয়ার্ধে লামিনে ইয়ামালের গোলে জয় পায় বার্সেলোনা।
কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে শুরুতে বিলবাওকে চেপে ধরা বার্সেলোনা। খেলার ৫ মিনিটে জুল কুন্দের পাস বক্সে পেয়ে উড়িয়ে মারেন রাফিনহা। তিন মিনিট পর এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিক ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ১৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় বার্সেলোনা। বক্সের ভেতরে আলেসান্দ্রো বালদের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি গাভি। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ২০ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের প্রথম গোল এটি। হাঁটুর গুরুতর চোটে ১১ মাস বাইরে থাকার পর গত অক্টোবরে মাঠে ফেরেন তিনি। ২৪ মিনিটে ডাবল সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমোন। রাফিনহার পর ইয়ামালের শটও আটকে দেন তিনি। বিলবাও সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ পায় ৩৬ মিনিটে। গোর্কার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পেয়ে উড়িয়ে মারেন বিলবাও অধিনায়ক ইনাকি উইলিয়ামস। বার্সেলোনা ব্যবধান দ্বিগুণ করে ৫২ মিনিটে।
গাভির পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইয়ামাল। অ্যাঙ্কেলের চোট কাটিয়ে তিন সপ্তাহ পর মাঠে ফিরেই গোলের দেখা পেলেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ উইঙ্গার। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে তার গোল হলো ৭টি, সঙ্গে অ্যাসিস্ট আছে ১২টি। একটু পর বক্সে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রবার্ত লেভানডস্কি। ৮২ মিনিটে ডি মার্কোস বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। চার মিনিট পর ইনাকি উইলিয়ামস জাল খুঁজে নিলেও ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল পেতে পারতেন তোরেস। তার শট গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার। গত বছরের শেষ দুই মাস ভীষণ বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা নতুন বছরে জয় দিয়েই পৌছে গেলো সুপার কাপের ফাইনালে।
এদিকে, প্রিমিয়ার লিগে আগের ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর পর এবার লিগ কাপে হারের মুখ দেখলো লিভারপুল। দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলার মাঝে হঠাৎই যেন ছন্দপতন অলরেডদের। বুধবার লিগ কাপের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে টটেনহ্যামের মাঠে ১-০ গোলে হেরে গেছে লিভারপুল। শুরু থেকেই বলের দখলে এগিয়ে থাকা লিভারপুলকে আটকে রেখে ৮৬ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় টটেনহ্যাম। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন লুকাস বার্জভাল। ম্যাচ শেষে ১৮ বছর বয়সী এই সুইডিশ মিডফিল্ডারের ওপর রাগ ঝেড়েছেন লিভারপুল কোচ আর্নে সøট। আগেই একবার হলুদ কার্ড দেখা বার্জভাল লিভারপুল ডিফেন্ডার কন্তাস সিমিকাসকে সøাইডিং ট্যাকল করে ফেলে দেন। ফাউলের শিকার সিমিকাসকে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। কিন্তু রেফারি স্টুয়ার্ট অ্যাটওয়েল কার্ড না দিয়ে লিভারপুলকে কাউন্টার অ্যাটাক করার সুযোগ করে দেন।
কাউন্টার অ্যাটাকে লিভারপুল বলের দখল হারাতেই সিমিকাসের ফেলে যাওয়া ফাঁকা জায়গাটা কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেয় টটেনহ্যাম। ডোমিনিক সোলাঙ্কির পাস থেকে টটেনহ্যামের জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি পেয়ে যান সেই বার্জভাল। ঐ গোলটি ধরে রেখেই ঘরের মাঠের ম্যাচটি শেষ করে টটেনহ্যাম। ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ সøট দলের হারের কারণ হিসেবে রেফারির ‘ভুল’কেই বড় করে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আজকের ফলে কার্ড না দেখানোর ঐ সিদ্ধান্তের বড় ভূমিকা আছে। চতুর্থ রেফারি আমাকে বলেছেন কেন তার কাছে এটাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানোর মতো ফাউল মনে হয়নি। তিনি সম্ভবত ঐ যুক্তি আবার রেফারির কাছ থেকে শুনেছেন। ঐ পরিস্থিতিতে যে কোনো কোচই ফ্রি কিকের চেয়ে হলুদ কার্ডই চাইবেন রেফারির কাছে।’ ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে মাঠে নামবে লিভারপুল।
Sharing is caring!