শেষ চার ওভারে খুলনা হারায় ৬ উইকেট, রান যোগ করতে পারে কেবল ১৩! বাউন্ডারি কেবল একটি! মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। তিনে পারে কেবল ৩! টানা তিন বলে আউট হন তিনজন। টানা দুই বলে দুজন হন রান আউট! চাপের মুখে খেই হারিয়ে ফেললে যেমন হয় আরকি।
প্রথম দুই বলে রান নিতে পারেননি মোহাম্মদ নেওয়াজ। এরপর হয় ওয়াইড। পরের বলে রান আউট হন পাকিস্তানী এই ব্যাটার ৭ বলে ৪ রান করে। নতুন ব্যাটার নাসুম আহমেদ হন রান আউটের শিকার। শেষ দুই বলে দরকার ছিল ১০। তখন ক্যাচ আউট হন আবু হায়দার।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই কার্যকর জুটি পায় খুলনা। ৪ ওভারে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ১৫ বলে ১৭ রান করে আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হন ডরিশ রসুলি। এরপর ৪৩ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও নাইম। মিরাজকে আউট করে জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন মিরাজ। এরপর আফিফকে নিয়ে ২২ বলে ৪৫ রানের আরেকটি কার্যকর জুটি গড়ে বিদায় নেন নাইম, ৪১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে।
১৫ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ২৯ রান করে বলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় রানের ব্যবধান কমিয়ে আউট হন আফিফ। ১৭তম সেই ওভারে আফিফের উইকেট নিয়ে স্রেফ ৪ রান দিয়ে রংপুরকে লড়াইয়ে রাখেন মেহেদি হাসান। খুলনার ধ্বসেরও শুরু সেখানেই।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে বোল্ড করে দেন আকিফ। ১৯তম ওভারের প্রথম বলটা গিয়ে আঘাত করল তাঁর পায়ে। উইকেটে লুটিয়ে পড়া অঙ্কন ফিজিওর শুশ্রূষা নিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে দাঁড়িয়েও টিকতে পারেননি। আকিফের পরের বলটাই এলোমেলো করে দেয় তাঁর স্টাম্প।
এরপর ১০ বলে খুলনার দরকার পড়ে ১৮ রানের। যে হিসাব মেলাতে পারেনি খুলনা। নতুন ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারলেও পরের বলে ইফতিখার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। ১২ বলে ১৮ রানের সমীকরণ তখন ৬ বলে ১২ রানের। ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা রংপুরের পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় রংপুর। একটি করে ছক্কা-চারে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে আউট হন স্টিফেন টেইলর। ৮ বলে ১৩ রান করে বোল্ড হন আবু হায়দারের বলে। ১১ বলে ৭ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন সাইফ হাসান।
এরপর ৩০ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন ওপেনার তৌফিক খান ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনের কেউই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রত্যাশিত রান করতে পারেননি। তৌফিক আউট হন আবু হায়দারের শিকার হয়ে ৩০ বলে ৩৬ রান করে। শেষ ওভারে ইফতিখার আউটের আগে করেন ৩৬ বলে ৫ চারে ৪৩ রান। তার ইনিংসে ছক্কা নেই একটিও।
রংপুর লড়াইয়ের পুঁজি পায় মূলত খুশদিলের ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে ইফতিখার-খুশদিল জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ১১৫ রান। যেখানে ইফতিখারের অবদান ২২ বলে স্রেফ ৩০। ৩৫ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল। খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন হায়দার ও হাসান।