আজ বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ণ
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহযোগিতা দিচ্ছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি

Sharing is caring!

ডেস্ক রিপোর্ট : দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, দ্বীন ও ঈমান সর্বোপরি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার সশস্ত্র লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। দিনের আলো আর রাতের অন্ধকার মিশে একাকার হয়ে যায় মুহুর্মুহু গুলি আর বোমা বর্ষণের বিস্ফোরণে। সেই যে সূর্যের উদয় অস্ত আড়াল হয়েছে, বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও গাজাবাসী নতুন সূর্যের আলো দেখেনি। দুনিয়ার পরাশক্তি ইসরাইলকে শক্তি সমর্থন জোগায় সর্বোতভাবে। অপরদিকে হামাস একটি সংগঠন মাত্র। সারাবিশ্ব তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু উপভোগ করে যায় মুসলিম নিধনের নির্মম দৃশ্য।

যুদ্ধের এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। গাজা এখন মৃত্যুপুরী। উঁচু উঁচু প্রাসাদগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মাটির সাথে মিশে আছে ভাঙা ভাঙা ইট পাথর। বাড়িঘর উড়ে গেছে, মিশে গেছে বাতাসে। শেষ হাসপাতালটিও মাটিতে মিশে গেছে। অ্যাম্বুলেন্স গুলোর ভাঙা ভাঙা টুকরো পড়ে আছে এখানে সেখানে। এতো গেল সাজ সরঞ্জাম আর ঘরবাড়ির কথা। মানুষের অবস্থা আরও ভয়াবহ।

প্রতি মুহ‚র্তেই মানুষের নির্মম মৃত্যু ঘটে গাজায়। কেউ মরে শত্রæর হামলায়, কেউ মরেক্ষুধা আর পিপাসায়, আর কেউ মরে শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপে। পথেঘাটে লাশ। ক্ষতবিক্ষত দেহ। ছিন্নভিন্ন দেহ। অগ্নিদগ্ধ। পুড়ে ছাই। আদূরে কন্যার এক টুকরো পা নিয়ে সান্ত¡না খুঁজেন আহত পিতা। মেয়ের ধ্বংসাবশেষ পেয়ে তার সে কী হাঁসি! লাশগুলো দাফন করা হয় পলিথিনে মুড়িয়ে। কাফনের কাপড় নেই। পলিথিনে মোড়ানো সারি সারি লাশ। দীর্ঘ কবর খনন করা হয় যান্ত্রিক মেশিনে। এক কবরে শোয়ানো হয় সবাইকে। গত ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট শহীদ হয়েছেন ৪৫ হাজার ৮০৫ জন। আহত হয়ে পড়ে আছেন ১লাখ ৯ হাজার ৬৪ জন।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই নিপীড়িত গাজাবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে সরকারী নিবন্ধনভ‚ক্ত জাতীয় সেবা সংস্থা হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ। সময়ের পালাবদলে সবাই যখন গাজাকে প্রায়ই ভুলেই গেছে, তখন বাংলাদেশ থেকে কেবল হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটিই আলাদা প্রজেক্ট চালু করে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে গাজায়। হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকার সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে সরাসরি নিপীড়িত মানুষের কাছে। এরই মধ্যে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মিশর সফরে যায় সংস্থাটির ছয় সদস্যের একটি টিম। ছয় দিনের ওই সফরে মিশরের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া গাজাবাসীদের সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে গাজা ও খান ইউনিসেও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেন তারা।

কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাহত ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান, খাবার ও পানি বিতরণ, নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান এবং শীতবস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি। গত দুই মাসে গাজার খান ইউনিস ও দেইর আল বালাহতে ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে প্রায় আশি হাজার লিটার পানি, পরপর রান্না করা খাবার, শীতবস্ত্র, নগদ অর্থ বিতরণ করেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি। স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি কার্যক্রম সংস্থার নিজস্ব ব্যানারে এবং সংস্থার ইউনিফর্ম পরে করে থাকেন।

Sharing is caring!