এছাড়াও জানা যায়, রাজপরিবারের সঙ্গে আসমা খানের দীর্ঘদিনের জানাশোনা রয়েছে। কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ও লোরেটো কলেজে পড়াশোনা করা আসমা বর্তমানে লন্ডনের অন্যতম খ্যাতনামা শেফ। রান্নার পাশাপাশি তাঁর রেস্টুরেন্ট সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্যও ব্যাপক প্রশংসিত।
১.রাজা-রানীর হাতেই বিরিয়ানি প্যাকিং!
রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা এদিন দার্জিলিং এক্সপ্রেসের রান্নাঘরে গিয়ে প্রধান শেফ আশা প্রধান ও অন্য কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে বিরিয়ানি প্যাক করেন। এসময় মজার ছলে আসমা বলেন, “আমি ভাবতেই পারিনি রাজা এত তাড়াতাড়ি প্যাক করতে পারবেন!” এমনকি রানী ক্যামিলা আবার নিশ্চিত হতে চাইলেন, “এটি খাঁটি বাসমতী চাল কিনা?”
এমনকি রাজপরিবারের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে লেখা হয়,”রমজানে সূর্যাস্তের পর ইফতারের সময় প্রথম খাবার হিসেবে খেজুর খাওয়া হয়। তাই রাজা ও রানী স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে পাঠানোর জন্য খেজুর প্যাক করলেন।”
২.চার্লসের রসিকতা – “আমি কি বেশি পুরনো হয়ে গেছি?”
প্যাকিংয়ের সময় চার্লসকে বলা হয়, তিনি চাইলে প্রতিবছর এখানে কাজ করতে পারেন! উত্তরে রাজা হেসে বলেন, “আমি হয়তো আমার সেল-বাই ডেট পেরিয়ে গেছি!”রানী ক্যামিলা এই অল-ফিমেল কিচেন টিমের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বেশ আনন্দ পান। আর রাজা চার্লস মজা করে নিজের জন্যও একটি বিরিয়ানির বাক্স প্যাক করে নেন!এদিন রাজা আরও কয়েকজন বিশিষ্ট শেফের সঙ্গেও দেখা করেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন সিরিয়ান শেফ ইমাদ আলারনাব ও মাস্টারশেফ বিজয়ী সালিহা মাহমুদ-আহমেদ। রাজপরিবারের এই সম্প্রীতির বার্তা ও সমাজসেবামূলক উদ্যোগ রমজানের আগে ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।