শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমেরিকার এই শতবর্ষী প্রেসিডেন্টের মরদেহ রাখা হবে ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে। কার্টারের উদ্দেশ্য শেষকৃত্যের মূল ভাষণটি দিবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মৃত্যুর আগে এমনটাই ইচ্ছা ছিল জিমি কার্টারের।
তবে বাইডেন প্রথম সারিতে থাকলেও মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে। শপথের ১১ দিন আগে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও দেখা যাবে শেষকৃত্যে। একই অনুষ্ঠানে বাইডেন আর ট্রাম্প- সেখানে বাইডেনের প্রতি ট্রাম্পের আচারণ কেমন হবে তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
এছাড়াও শেষকৃত্যে থাকার কথা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিনটনের। পাঁচজনকে একসঙ্গে এক মঞ্চে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিরল ঘটনা- এমনটাই বলছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
এর আগে ২০১৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচডব্লিউ বুশের শেষকৃত্যে হাজির হয়েছিলেন ট্রাম্প। সে সময়ে বারাক ওবামার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করলেও হিলারি ক্লিনটন এবং বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে কোনো ধরনের করমর্দন বা বাক্যালাপ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিগত কয়েক বছরে মার্কিন রাজনীতিতে সহনশীলতা এসে ঠেকেছে তলানিতে। একে অন্যের মুখ দেখাদেখি না করার এ রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়তো রাতারাতি বদলাবে না; তবে মানবতাবাদী হিসেবে বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য কিছুক্ষণের জন্য হলেও একই মঞ্চে নিয়ে আসবে রিপাবলিকান আর ডেমোক্রেটদের।