Sharing is caring!
ডেস্ক রিপোর্ট : কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লাটনিক জোর দিয়ে বলেছেন যে- বিভিন্ন দেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্ধারিত পাল্টা শুল্ক চলতি সপ্তাহেই কার্যকর হবে, এবং তা বহাল থাকবে। কোনো দরকষাকষিতে তা পেছানো হবে না বলে, স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী ঝড় উঠিয়ে, গত ২ এপ্রিল সব দেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, যা এরইমধ্যে কার্যকর হয়েছে। পাশাপাশি অ্যামেরিকার পণ্য আমদানির ওপর যেসব দেশ উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করেছে, তাদের পণ্যের ওপর উচ্চহারে পাল্টা শুল্ক ধার্য করেছেন ট্রাম্প। যা চলতি সপ্তাহেই কার্যকর হতে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের এমন শুল্কনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি, ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। করোনা মহামারির পর সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সব মিলিয়ে, দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ মন্দার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন, বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তবে, প্রেসিডেন্টের শুল্কনীতির পক্ষে সাফাই গাওয়া অব্যাহত রেখেছেন তাঁর ক্যাবিনেটের সদস্যরা। সিবিএস নিউযের ফেইস দ্য ন্যাশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে, কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লাটনিক বলেন, দেশের ওষুধ থেকে শুরু কোরে, জাহাজ, ইস্পাত, সেমিকন্ডাক্টর সব শিল্পই শেষ হয়ে গেছে; তাই এমন শুল্ক আরোপ করা ছাড়া উপায় ছিল না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন লাটনিক। আলোচনার মাধ্যমে অন্য দেশগুলোর ওপর ধার্যকৃত শুল্ক আরোপের দিনক্ষণ পেছানো হতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন কমার্স সেক্রেটারি। লাটনিক আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট যখন শুল্ক আরোপের হুমকি দিচ্ছিলেন; তখনই বোঝা উচিত ছিল যে- তিনি রসিকতা করছেন না। এদিকে, এবিসি নিউযের এক অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট অভিযোগ করেন- শুল্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো স্ববিরোধী সংবাদ প্রচার করছে।
হ্যাসেট বলেন, প্রেসিডেন্টের ব্যাপক শুল্ক ঘোষণায় দেশগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও; তারা আলোচনায় আসছে। এরইমধ্যে ৫০টিরও বেশি দেশ, আলোচনা শুরু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, ট্রেযারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, এখনই মন্দার ভয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না তিনি। বেসেন্ট দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে তাঁর প্রশাসন দেশের অর্থনীতির একটি দীর্ঘমেয়াদি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলছে।
Sharing is caring!